গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) ও বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি ও অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় শনিবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফলে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় প্রার্থী গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক পেয়েছেন ৪১ হাজার ৪০৮ ভোট।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মো. মাহাবুবুর রহমানের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান, একটি পৌরসভা ও ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২১১ জন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির দলীয় প্রার্থী গাইবান্ধা জেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মইনুল রাব্বী চৌধুরী।
এদিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার অনুষ্ঠিত শরণখোলায় চারটি এবং মোরেলগঞ্জের ১৬টিসহ দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ১৪৩টি ভোটকেন্দ্রের সবকটিতেই নৌকার প্রার্থীর বিপুল ভোটে বিজয় হয়েছেন।
দুই উপজেলার কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সংসদীয় আসনের দুটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৭৪৪ ভোট।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ার পর ৬ ফেব্রুয়ারি মাসে উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, বিএনপির প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও ও জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের ঋণ ও পৌর কর খেলাপির কারণে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।