প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৮২১ জন। ইউরোপের এ দেশটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮০৩ জন।
আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ২৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫১৬ জন। সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার ৭০৯ জন ।
এছাড়া বর্তমানে স্পেনে ৫৮ হাজার ৫৯৮ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪৩৩ জনের অবস্থা সাধারণ। বাকি ৪ হাজার ১৬৫ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে রয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরোসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৯৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৩ হাজার ৯৫ জন।
এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২১ হাজার ৪১২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫১ হাজার ৪ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ২৮৫ জন।
এছাড়া বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫২ জন আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯ হাজার ৬৬৩ জনের অবস্থা সাধারণ। বাকি ২৬ হাজার ৭৮৯ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইউরোপের দুই দেশ ইতালি ও স্পেন। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১০ হাজার ৭৭৯ জন। যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ২২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৫ জন।
এ রোগের কোনো উপসর্গ যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে।
স্পেনে ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে করোনা ভাইরাস। মহামারী ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু এখন বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও এর সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোটাই এখন কালোবাজারিদের দখলে। সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না সুরক্ষামূলক মাস্ক, গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।