ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন পেসার শরীফ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পেসার মোহাম্মদ শরীফ

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তেমন প্রস্ফুটিত হয়নি। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা তারকা তিনি। ২০০৭ সালের পর আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে দেথিয়ে গেছেন আধিপত্য।

প্রায় ২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল যেই ক্রিকেট ক্যারিয়ার, তার ইতি টেনেছেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শরীফ। শনিবার সন্ধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সবধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত। তবে রেখেছেন একটি শর্ত।

universel cardiac hospital

আপাতত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসর নিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে করোনা পরিস্থিতি সামলে নিয়ে চলতি মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট যদি আবার শুরু হয়, তাহলে এই আসর খেলবেন তিনি। অন্যথায় গত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিই হয়ে থাকবে তার ক্যারিয়ারের শেষ।

২০০০-২০০১ মৌসুমে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় শরীফের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডাক পেয়ে যান শীঘ্রই। ২০০১ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে মাত্র ১৫ বছর ১২৮ দিন বয়সে খেলে ফেলেন টেস্ট ক্রিকেট। তার চেয়ে কম বয়সে টেস্ট খেলেনি বিশ্বের আর কোনো পেসার।

তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পথচলাটা কখনওই মসৃণ ছিল না তার। শুরুতে পিঠের ইনজুরি আর পরে আরও ছোটখাটো ইনজুরির কারণে প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারেননি শরীফ। বাংলাদেশের হয়ে ১০ টেস্টে ১৪ এবং ৯ ওয়ানডেতে ১০ উইকেট শিকারই তার ক্যারিয়ারের অর্জন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্য সেরা শরীফ। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি, শিকার করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯৩টি উইকেট। এছাড়া দেশের পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ বার পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ডটাও তারই।

পঞ্চাশ ওভারের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলেছেন ১১৯ ম্যাচ। সেখানে ৭ বার পাঁচ ও ৫ বার চার উইকেট শিকারের মাধ্যমে ঝুলিতে পুরেছেন ১৮৫ উইকেট। ফার্স্ট ক্লাস ও লিস্ট ‘এ’- উভয় ফরম্যাটেই হ্যাটট্রিক রয়েছে শরীফের। নিজের সবশেষ স্বীকৃত ম্যাচে ৪৭ রানে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এ পেসার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে