শনিবার বসছে একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশন

সংসদ প্রতিবেদক

সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন আগামীকাল শনিবার বিকাল ৫টায় বসতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে এই অধিবেশনের মেয়াদ অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।

এছাড়া সংসদ সদস্যদের অধিবেশন কক্ষে বসার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে। কোরাম (৬০ সদস্য) পূর্ণ হলেই অধিবেশন শুরু হবে।

universel cardiac hospital

জনসমাগম এড়াতেও সংসদের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সংসদে সমাগত এড়াতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি যাতে কম হয় তা নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজন নেই এমন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে।

সংসদের গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক তারিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত ইতিপূর্বে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় সংসদের এই অধিবেশনে সাংবাদিকদের সশরীরে উপস্থিত না হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংসদ বিটে কর্মরত সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ভাইদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম (২০২০ সালের ২যয়) অধিবেশন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৮ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৫টায় আহ্বান করা হয়েছে। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবার জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে এ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে সব সাংবাদিক ভাইদের সরাসরি সংসদে না এসে স্ব স্ব স্থানে অবস্থান করে সংসদ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন কভার করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।

করোনভাইরাসের এই মহাদুর্যোগে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসাবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এখন ঢাকায় আছেন এবং বয়সে তরুণ এমন এমপিদেরই শুধু সংসদে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে। সংসদে প্রবেশের সময় এমপিদের তাপমাত্রা মাপা হবে।

সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের সময়সীমা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংসদের আইন শাখা জানায়, চলতি সংসদের কোনও সংসদ সদস্য মারা গেলে অধিবেশন শুরুর দিনে শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর বৈঠক মুলতবি করা হয়। চলতি সংসদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-২) গত ২ এপ্রিল মারা যান। তাই বৈঠকের শুরুতেই শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও তার শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোক প্রস্তাব গ্রহণের পরপরই বৈঠক মুলতবি হতে পারে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে