রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সওগাত নিয়ে বিশ্ব মুমিন-মুসলমানের দ্বারে আবারও সমাগত সাম্য, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, মানবিকতা, ত্যাগ, সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস মাহে রমজান। মুসলমানদের জীবনে রমজান মাস আল্লাহ তায়ালার দয়া, ক্ষমা ও পাপমুক্তির এক সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করে। এই মাসের শবে কদরে নাজিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন যা সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। এই কারণেও এই মাসের মর্যাদা ও তাৎপর্য অপরিসীম। আমরা পুণ্যময় রমজানের এই শুভাগমনকে স্বাগত জানাই।
মাহে রমজানে রোজা পালন মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতা, উদারতা ও মহত্ত্বের শিক্ষা দেয়। কোনো প্রকার অপচয় না করে রোজার মাসে মানুষের সেবায় দান-সাদকা করলে অভাবক্লিষ্ট মানুষের কল্যাণ হয় এবং মানবতা উপকৃত হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবকুলের মধ্যে সর্বাধিক উদার ও দানশীল ছিলেন। যখন রমজান মাস আসত তখন তাঁর দানশীলতা বহুগুণ বেড়ে যেত।
এ বছর রমজান এমন একটি সময়ে আমাদের মাঝে সমাগত যখন মহামারি করোনা প্রতিদিন কেঁড়ে নিচ্ছে বিশ্বের অসংখ্য মানুষের প্রাণ। যার প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। আর এজন্য মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চলছে লকডাউন। যার ফলে ঘরবন্দী হয়ে আছে সব মানুষ। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দেশের নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি। সরকার এসব অসহায় রুটি-রুজিহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করব সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরাও এই দুর্যোগে এলাকার অসহায় মানুষগুলোর মাঝে সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।
রমজানের রোজা অনুভব করায় ক্ষুধার্ত ও বঞ্চিত মানুষের কষ্ট। শিক্ষা দেয় মিতব্যয়িতার। ভোগ নয়, ত্যাগের আদর্শে আমাদের উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহ তায়ালা সঠিকভাবে আমাদের রমজানের রোজা এবং যাবতীয় সুন্নাত ও নফল ইবাদত ঘরে বসে পালনের তাওফিক দিন। আমিন।