গত ২৯ ডিসেম্বর চীনের উহানে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। এরপর পার হয়েছে মাত্র চার মাসের মতো। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৫৯৭ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ২০০ জন। অপরদিকে ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বিশ্বের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ১০ হাজার ৩৫৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ৭৯৭ জনের। এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৯৯০ জন।
করোনার হানায় রীতিমতো মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়ে ইউরোপ। বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির প্রায় অর্ধেকই হয়েছে এ অঞ্চলে।
স্পেনে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৪২২ জন। মারা গেছেন ২৩ হাজার ৫২১ জন।
ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৪ জন, প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ হাজার ৯৭৭ জন। ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ২২০ জন, মৃত্যু ২২ হাজার ৮৯০ জনের।
জার্মানিতে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার বেশ কম। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলেও মারা গেছেন মাত্র ৫ হাজার ৯৮৫ জন।
এছাড়া, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ২০ হাজার ৭৯৭ জন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হু হু করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে। সেখানে মাত্র মাসখানেকের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১৩০ জন। মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৫ জন।
বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।