চলতি বছর ১৮টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে সরকারিভাবে বোরো চাল সংগ্রহের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে সরকার। আগামী মৌসুম থেকেই অ্যাপের মাধ্যমে মিলারদের কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চাল সংগ্রহ করা হবে।
সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, সরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমানে ইরি/বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ১৮ উপজেলায় ‘চাল সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার সার্ভিস’ নামে ডিজিটাল অ্যাপের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ পাইলটিং কার্যক্রমটি বর্তমান মৌসুমের পরিবর্তে আগামী মৌসুমে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
সরকারি মজুত গড়ে তুলতে মিল মালিকদের কাছ থেকে সরকার চাল কিনে থাকে। চলতি বোরো মৌসুমে ২২টি উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছে সরকার। তবে সেক্ষেত্রেও তেমন সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবার বোরোতে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে ২৬ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ টন ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি।
বোরো ধান গত ২৬ এপ্রিল থেকে কেনা শুরু হয়েছে। ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে, সংগ্রহ শেষ হবে ৩১ আগস্ট।