স্থগিত থাকা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্যে কি আছে তা আর দুইদিন পর জানা যাবে। ৬ রাউন্ড শেষ হওয়া লিগ যে আর মাঠে গড়াবে না, সেটা ধরেই নেয়া যায়। কারণ, বেশিরভাগ ক্লাবই এ মৌসুমে আর খেলতে চায় না। তো ক্লাব না খেললে বাফুফে কী করবে? এমন অসংখ্য প্রশ্নের সমাধানে আগামী রোববার জরুরি সভায় বসছে বাফুফের নির্বাহী কমিটি।
লিগের সাথে লেগে থাকা ‘স্থগিত’ শব্দটি উঠিয়ে সেখানে ‘বাতিল’ বা ‘সমাপ্তি’ বসাবে বাফুফে। এর পাশাপাশি আগামী দিনের কিছু গাইডলাইনও থাকবে ক্লাবগুলোর জন্য।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আগামী মৌসুমটা আমরা কবে শুরু করতে চাই, লিগের বাইলজে কোনো পরিবর্তন থাকবে কিনা, এসব বিষয়ে একটা গাইডলাইনও আসবে এই সভা থেকে।’
ক্লাবগুলোও সেটা চায়। এখই নতুন মৌসুম শুরুর সময়টা জানিয়ে দিলে ক্লাবগুলোর জন্য সুবিধা হবে। যে কারণে চলমান লিগ এগিয়ে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে ঠিক একই কারণে নতুন মৌসুমের জন্য দলগঠন করতে হিমশিম খেতে হবে ক্লাবগুলোকে।
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি এবং প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীও মনে করেন পরের মৌসুমে আরো প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হতে পারে বেশিরভাগ ক্লাবকে। তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলোকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের আর্থিক অবস্থা কেমন থাকে তার ওপর নির্ভর করবে দল গঠন।’
সবকিছু মিলিয়ে আগামী মৌসুমে বিদেশি ফুটবলারের কোটা নাও রাখতে পারে বাফুফে। এ নিয়ে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার মধ্যে আলোচনাও শুরু হয়েছে। রোববারের সভায় এ বিষয়টাও আলোচনায় উঠবে জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘নির্বাহী কমিটি সবকিছু ভেবেই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিদেশি ফুটবলারবিহীন লিগ নিয়ে সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জাতীয় দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে বলেছেন, ‘এটা হলে ভালোই হবে। বিশেষ করে জাতীয় দল বেশি উপকৃত হবে। তারা নিজ নিজ পজিশনে খেলতে পারবে। স্থানীয় ফুটবলারদের জন্য এটা হবে ভালো সুযোগ।’
বিদেশি ফুটবলার ছাড়া লিগের পক্ষে নয় অনেক ক্লাব। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান যেমন বললেন, ‘লিগ হলে লিগের মতোই হওয়া উচিত। বিদেশি ফুটবলার যারা আনতে পারবে না তারা স্থানীয় ভালো ফুটবলার নেবে। যারা ভালো বিদেশি আনতে পারবে আনবে। ভালোমানের বিদেশিদের সঙ্গে টক্কর দিলে বরং আমাদের স্থানীয় খেলোয়াড়দের মান বাড়বে।’