ভারতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮২ হাজার ১০৩ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আরও ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে দেশটিতে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬৪৯ জনে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭ হাজার ৯৭৭ জন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারতে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে। আগামী ১৭ মে এই দফার মেয়াদ শেষ হবে। দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে এবং সেই সঙ্গে করোনায় সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইতোমধ্যে বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যও নানা পদক্ষেপ করছে।
ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র। করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে বেশি। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ে তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২৪ জনেরও বেশি। মৃত্যুর দিক থেকেও দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা ১০১৯। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ৫৯ জন।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬৭৪ জন। এর পরই রয়েছে গুজরাট। এ রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৯৫৯১ জন। মৃত্যুর দিক থেকেও মহারাষ্ট্রের পর গুজরাট। এ রাজ্যে ৫৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গুজরাটের পর রয়েছে দিল্লি। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। আক্রান্তের দিক থেকে এরপর রয়েছে রাজস্থান ৪৫৩৪, মধ্যপ্রদেশে ৪৪২৬, উত্তরপ্রদেশে ৩৯০২ এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ২২০৫।
করোনার সংক্রমণ হাজার ছুঁতে চলেছে এমন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিহার। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯৪। এছাড়া কর্নাটকে ৯৮৭ ও জম্মু-কাশ্মীর ৯৮৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৭৭ জনেরও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭৬৮ জন। যদিও রাজ্য সরকারের হিসাব বলছে, করোনায় ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।