করোনায় বিশ্বব্যাপী একদিনে আক্রান্ত ৮৮ হাজার, মৃত ৩৪৪৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনার ভয়াল রূপ
করোনার ভয়াল রূপ। ফাইল ছবি

করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে এর প্রকোপ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। সোমবার একদিনে বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ হাজার ৮৫৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৪৪৫ জনের।

এছাড়া একদিনে বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজারের বেশি করোনা রোগী। এ তথ্য জানিয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।

universel cardiac hospital

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ২০ হাজার ১৩৪ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ জন। অপরদিকে ১৯ লাখ ৭ হাজার ৪১৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও এখন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ২৯৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯১ হাজার ৯৮১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৩ জন।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে রাশিয়া। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭২২ জন।

স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭০৯ জনের।

মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৯৬ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৬ জন। এছাড়া ইতালিতে নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭ জন।

চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম।

এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন। তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো দেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়া লকডাউন শিথিল ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে