জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে ১০ হাজারের মতো মার্কিন নাগরিক গ্রেফতার হয়েছেন। বার্তা সংস্থা এপির বরাতে আল-জাজিরা ও ওয়াশিংটন পোস্ট এমন খবর দিয়েছে।
রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ঢল নামার পর প্রতিদিনই শত শত লোককে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি ও কারফিউর কারণে গ্রেফতারের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
দেশটিতে সর্বমোট গ্রেফতারের এক চতুর্থাংশই হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এরপরেই রয়েছে নিউইয়র্ক, ডালাস ও ফিলাডেলফিয়া।
কারফিউ আইন লঙ্ঘন ও বিক্ষোভ থেকে সরে না যাওয়ার অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে। চুরি ও লুটের অভিযোগ আনা হয়েছে আটকদের বিরুদ্ধে।
গত সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রাজনীতিবিদদের দাবি, প্রতিবাদে অংশ নেয়া অধিকাংশই বাইরে থেকে আসা। মিনেসোটার গভর্নর বলেন, বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৮০ শতাংশ লোক রাজ্যের বাইরে থেকে এসেছেন।
জাতীয় ল’ইয়ার গিল্ডের লস অ্যাঞ্জেলেস অফিসের ক্যাথ রোজার্স বলেন, এত বেশি সংখ্যাক আটক হয়েছে যে সংখ্যা দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। ভুল সময়ে ভুল জায়গায় থাকার কারণেও অনেকে আটক হন। এক নারী সান্ধ্যকালীন হাঁটতে বের হওয়ার সময় আটক হয়েছেন। অথচ তিনি কোনো বিক্ষোভে অংশ নেননি।
এছাড়া নিজ ক্যামেরায় লুটের ছবি তোলায়ও এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লুটের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
ক্যাথ রোজার্স আরও বলেন, আমি এখানে দুই বছর ধরে আছি। শত শত বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এত বেশি রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের ব্যবহার আগে কখনো দেখিনি।