হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো তার অবস্থা আগের মতো সংকটাপন্নই রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎক।
সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং নাসিমের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
কনক বড়ুয়া বলেন, ‘তার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি এখনো ভেন্টিলেশনে আছেন, কোনো রেসপন্স নাই। কাল যেমন দেখে এসেছি তেমনি আছেন।’
নাসিম রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসায় ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফল পজিটিভ আসে। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেনস্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার সফল হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও এখনো তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেঁধে আছে। স্ট্রোকের পর থেকেই তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন। এখনও গভীর কোমায় আছেন। ডাকলে কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি ১৪ দলের মুখপাত্রও। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়ান ইলেভেনের সময় কারাবন্দি অবস্থায় প্রথমবার স্ট্রোক করেছিলেন নাসিম। এবার দ্বিতীয়বার স্ট্রোক করলেন। এজন্য তার ফিরে আসাটা জটিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।