টাইগারদের অনুশীলন জুলাইয়ের আগে নয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টাইগারদের অনুশীলন
ফাইল ছবি

মাঝে কত কথাই না শোনা গেল! কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে দেখা গেল, ‘যত গর্জে তত বর্ষে না।’

আইসিসির নির্দেশনা মেনে বিসিবি প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী ঠিক ঈদের পরপরই জানিয়েছিলেন, ফিট ও ফুরফুরে রাখার জন্য ক্রিকেটারদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে শুরু করা হবে ফিটনেস ক্যাম্প, সঙ্গে স্কিল ট্রেনিংও চলবে। সেটাও এমনভাবে হবে যাতে করে খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনোরকম শারীরিক সংস্পর্শ না হয়।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু মত ও পথকে জানিয়েছেন, যখনই শুরু হোক, জাতীয় দলের অনুশীলনের শুরুতে প্রথম তিন সপ্তাহ ধরে চলবে শুধু ফিজিক্যাল ট্রেনিং। তার পরের দুই সপ্তাহ হবে স্কিল ট্রেনিং। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়কের বোধ-উপলব্ধি এই ৫ সপ্তাহের মধ্যেই ক্রিকেটাররা প্রস্তুত হয়ে উঠবেন।

এরপর এলো ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনুশীলন করার কথা। সাবেক অধিনায়ক ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমসহ কয়েকজন ক্রিকেটারের একান্ত ইচ্ছে তারা মাঠে গিয়ে রানিং, স্ট্রেচিং, জিমওয়ার্ক করার পাশাপাশি ব্যাটিং-বোলিংয়ের স্কিল ট্রেনিং করবেন।

কিন্তু শেষ খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত একজন ক্রিকেটারও একক অনুশীলন করার লক্ষ্য নিয়ে মিরপুরের শেরে বাংলা কিংবা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যাননি। সেটাই শেষ কথা নয়, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আপাতত সব স্থগিত। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে শারীরিক সংস্পর্শহীন অবস্থায় জাতীয় দলের প্র্যাকটিসের সম্ভাবনাও খুব কম।

জাতীয় দলের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের কথাবার্তায় সেই ইঙ্গিত। এখন দেশে করোনা সংক্রমণ যে মহামারী আকার ধারণ করেছে, তাতে করে যে কারও বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়াতেই রাজ্যের ঝুঁকি। সেভানে রুটিন করে ক্রিকেটারদের মাঠে গিয়ে অনুশীলন করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন মত ও পথকে জানিয়েছেন, ‘করোনার যা অবস্থা, তাতে যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, জুন মাসে জাতীয় দলের অনুশীলন করার প্রশ্নই আসে না। জুলাইয়ের প্রথম ভাগেও হয়তো সম্ভব না। জুলাইয়ের মাঝামাঝি গিয়ে অবস্থা বুঝে চিন্তাভাবনা করা যাবে। কিন্তু এখন করোনা যেভাবে চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে এর ভেতরে অনুশীলনের চিন্তা করার প্রশ্নই আসে না।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে