ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনার মামলায় দুই আসামির জামিন স্থগিত করতে দুদকের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
আজ বুধবার এ আদেশ দেন আদালত। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন।
হাইকোর্ট গত ২১ জুন শর্তসাপেক্ষে দুইজনকে জামিন দেন। তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা দাবি ও উত্তোলন করতে পারবেন না-এই শর্তে জামিন দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ খোলার এক সপ্তাহ পর্যন্ত এই জামিন দেওয়া হয়। এই জামিন স্থগিত রাখতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন-ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দা সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে ‘এক পর্দার দাম ৩৭ লাখ’ শিরোনামে গতবছর সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর পর্দা ও যন্ত্রপাতি কেনায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদক গতবছর ২৭ নভেম্বর মামলা করে। এ মামলায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওই দুইজন নিম্ন আদালতে আÍসমর্পন করেন। সেই থেকে তারা কারাবন্দি।
মামলার অপর আসামিরা হলেন-মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ (ফমেক) ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও ফমেক হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম নুরুল ইসলাম।