সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ২০১৯ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ২ দশমিক ২৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড–২০১৯’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এসএনবির তথ্যমতে, ২০১৮ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা অর্থ ছিল প্রায় ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা এবং ২০১৭ সালে ছিল ৪ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা। তবে এর মধ্যে কতটা বৈধভাবে জমা এবং কতটা অবৈধ তা উল্লেখ নেই।
মূলত বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে পাচার হওয়া অর্থ যেমন সুইস ব্যাংকে জমা হয়, তেমনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরাও সেখানে অর্থ জমা রাখেন। ফলে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে থাকা বাংলাদেশিদের মোট অর্থের মধ্যে বৈধ–অবৈধ সবই রয়েছে।
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের মোট অর্থের পরিমাণ কমলেও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এখনও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জমা তাদেরই। প্রথম স্থানে ভারত, এর পরেই রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
২০১৯ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে ভারতীয় নাগরিকদের জমা অর্থের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। পকিস্তানিদের জমা অর্থের পরিমাণও পাঁচ বছরে কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তবে এক বছরে বাংলাদেশিদের সম্পদ কমেছে মাত্র ১২৬ কোটি টাকা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে অর্থ সংক্রান্ত গোপনীয়তা কিছুটা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন অবৈধ টাকা রাখতে লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছেন।