কিশোরগঞ্জে নতুন করে আরও ৫২ জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৩১৭ জনে। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪৩ জন। আইসোলেশনে আছেন ৭৬৪ জন। আরা মারা গেছেন ২১ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ জন, হোসেনপুরে একজন, করিমগঞ্জে ছয়জন, তাড়াইলে একজন, কটিয়াদীতে তিনজন, কুলিয়ারচরে তিনজন, ভৈরবে ১৬ জন ও নিকলীতে দুজন রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানান, গত ১৭ জুন ঢাকায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬ জন এবং ১৮, ২১, ২২, ২৪ ও ২৫ জুন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে মোট ১৬৯ (আংশিক) জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ২৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) কর্তৃক হটস্পট ঘোষণা করা কিশোরগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসক, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
জেলার সবকটি উপজেলায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে ভৈরব উপজেলায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত ভৈরবে ৪৮৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১০ জন। কিশোরগঞ্জ সদরে ২৬৮ জন আক্রান্ত হন। মারা গেছেন চারজন।
জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ২৭ জন, করিমগঞ্জে ৮৯ জন, তাড়াইলে ৬৯ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫৪ জন, কটিয়াদীতে ৭০ জন, কুলিয়ারচরে ৯১ জন, নিকলীতে ২০ জন, বাজিতপুরে ৮২ জন, ইটনায় ২৫ জন, মিঠামইনে ৩০ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় আটজন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভৈরবে ১০ জন এবং কিশোরগঞ্জ সদরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হোসেনপুর উপজেলায় একজন, করিমগঞ্জে দুইজন, কটিয়াদীতে একজন, কুলিয়ারচরে একজন, নিকলীকে একজন, বাজিতপুরে একজন ও মিঠামইন উপজেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিনশ ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তিন থেকে চারদিন পর। ফলে মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।