কুয়েতে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের মদদদাতাদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির বিচার বিভাগ।
এ ঘটনায় সর্বশেষ দুজনের গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। যাদের একজন কুয়েতের শ্রম বিভাগের এক পরিচালক এবং অন্যজন এক রাজনীতিবিদ, যিনি গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
সরকারি কৌঁসুলির বরাত দিয়ে আরবি দৈনিক আল-রাই এমন খবর দিয়েছে। ওই দুজনকে ২১ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কুয়েতের যে দুই এমপির বিরুদ্ধে পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থপাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে সংসদীয় ইমিউনিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সালাহ খুরশিদ ও সাদুন হাম্মাদ নামে ওই দুই এমপির বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছিল সরকারি কৌঁসুলির অফিস।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি করতে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে যে দায়মুক্তি তারা পান, তা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছিল সেই সময়।
আরবি পত্রিকা আল কাবাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ওই দুই এমপির সংসদীয় ইমিউনিটি প্রত্যাহার করার আবেদন অনুমোদন করেছে কুয়েতের সংসদীয় বিচারবিষয়ক কমিটি।
এ সিদ্ধান্তের ফলে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন এখন তাদের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারবে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।