পলাতক থাকার সময় নিজেকে মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে আড়াল করতে চুল কালো ও গোঁফ ফেলে দিয়েছিলেন মো. সাহেদ করিম। কিন্তু মাথা কামাননি মানুষের নজর কাড়বে বলে। পরিকল্পনা ছিল ভারতে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ফেলবেন যাতে তাকে কেউ চিনতে না পারে।
কিন্তু তাকে আর মাথা ন্যাড়া করতে হয়নি। নানা ছলাকলা কৌশল করেও পার পেলেন না। ধরা খেলেন র্যাবের হাতে।
করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে আটক রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে আজ ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তিনি ভারতে পালাচ্ছিলেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেওয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র্যাব সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। ঘন ঘন স্থান বদল, নিজের মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়াসহ নানা কৌশলে গত ৯ দিন র্যাবকে ফাঁকি দিয়ে গেছেন তিনি।
তবে ভারতে পালানোর আগেই আজ ভোরে তাকে ধরতে সক্ষম হয় র্যাব। গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে ঢাকায় আনার আগে র্যাবের এডিজি (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল আহমেদ সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ বিভিন্ন চালাকি করেছিলেন। তিনি গোঁফ কেটে ফেলেছিলেন, সাদা চুল কালো করেছিলেন। বোরকা পরে পালাচ্ছিলেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে কর্নেল তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার (সাহেদ) মাথা ন্যাড়া করার পরিকল্পনা ছিল, যাতে সেখানে কেউ চিনতে না পারে।
এর আগেও একবার সাহেদ একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলেন সাহেদ। এবারও একই পথ বেছে নেন। রাতের শেষভাগে সাহেদ সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।