শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে মোকতাদির চৌধুরী এমপি’র শোক

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

শাহজাহান সিরাজ-মোকতাদির চৌধুরী

স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করার মাধ্যমে যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন তা জাতির কাছে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

universel cardiac hospital

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে আব্দুল গণি মিয়া ও রহিমা বেগম দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘদিম ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব। সেখান থেকেই পরবর্তী দিনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনি সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালে ‘বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স’(বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

এক সময়ের রাজনৈতিক সহকর্মী, সাবেক ছাত্রনেত্রী রাবেয়া সিরাজের সঙ্গে ১৯৭২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাহজাহান সিরাজ। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ একজন শিক্ষিকা এবং রাজনীতিবিদ।

শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনবার জাসদের মনোনয়নে এবং একবার বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শাহজাহান সিরাজ ২০০১ সালের নির্বাচনের পর চারদলীয় জোট সরকারে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। অনেক বছর ধরে অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে