করোনাভাইরাসের মতো বৈশ্বিক মহামারিতে জাল করোনা সার্টিফিকেট প্রদান এবং মাস্ক, পিপিই, গ্লাভসসহ সুরক্ষা সামগ্রী কেনায় স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম উদঘাটনে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন স্বাস্থ্য ভবনে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি অনুসন্ধানী টিম অভিযান পরিচালনা করে।
বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন দুদক উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান, গত পাঁচ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত চুক্তিপত্রসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। আজ শেষ দিনেও তাদের চাহিদা অনুযায়ী সকল তথ্য-উপাত্ত দিতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ অধিদপ্তর।
অভিযানে বিষয়ে বক্কর বলেন, দুদকের অনুসন্ধানী টিম মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলছেন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করছেন। মহাপরিচালক জানিয়েছেন, আগামীকাল তারা দুদকে কাগজপত্র পৌঁছে দেবেন।
এ বিষয়ে দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘কিছু নথিপত্র আনতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেছে দুদক টিম।’
এর আগে গত ১৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের লাইসেন্স ও করোনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারটেকিংসহ (এমওইউ) সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করে দুদক।