তালেবান জঙ্গিরা বাড়িতে ঢুকে তার বাবা-মাকে গুলি করে হত্যা করে। এমন নির্মম দৃশ্যে মুষড়ে না পড়ে বরং সে হাতে তুলে নেয় একে-৪৭। গুলি করে হত্যা করে ঘাতক দুই তালেবান জঙ্গিকে। আহত হয় আরও কয়েকজন। আফগানিস্তানের এক সাহসী কিশোরীর এমন প্রতিবাদে সাধুবাদ জানাচ্ছে সবাই।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশ ওই ঘটনা ঘটে। পিতা-মাতার হত্যাকারী সশস্ত্র তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াইয়ের মতো বীরোচিত কাজের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছে কিশোরী। হাতে একে-৪৭সহ তার একটি ছবি এখন ভাইরাল।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কিশোরীর বাবা সরকারি সমর্থক হওয়ায় কয়েকজন তালেবান জঙ্গি ওইদিন তাদের বাড়িতে যায়। বাড়িতে ঢুকেই কিশোরীর চোখের সামনে তার বাবা-মাকে হত্যা করে তারা। তবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে ভাইসহ প্রাণে বেঁচে যায় কিশোরী।
ঘটনার পর তালেবান জঙ্গিরা দল বেধে ফের তাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু গ্রামবাসী ও সরকারি মিলিশিয়ার পাল্টা আক্রমণ পালিয়ে যায় তারা। কর্মকর্তারা বলছেন, কিশোরীর বয়স ১৪ থেকে ১৬ বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাইসহ তাকে এখন তাদের বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাজিবা রাহমি নামের একজন ফেসবুক লিখেছেন, ‘তার এমন সাহসের কাছে মাথানত করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ মোহাম্মদ সালেহ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা জানি বাবা-মায়ের স্থান অপূরণীয়, কিন্তু তোমার এই বদলা তোমাকে অন্তত কিছুটা শান্তি দেবে।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দেওয়া তথ্য বলছে, সংঘাত কবলিত আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অনুন্নত একটি ঘোর প্রদেশ। সেখানে নারীর প্রতি সহিংসতার হারও সর্বোচ্চ। বিদ্রোহী তালেবান ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ে সেখানকার অনেক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।