নেত্রকোনার মদন উপজেলায় হাওরে বেড়াতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা ময়মনসিংহের একটি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পর্যটনকেন্দ্র ‘মিনি কক্সবাজার’ খ্যাত উচিতপুরের হাওরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে লুবনা আক্তার (১০) ও জুলফা আক্তার (৭) নামে দুই বোনের নাম জানা গেছে। তারা ময়মনসিংহের চরশিতা ইউনিয়নের ওয়ারেছ উদ্দিনের মেয়ে। বাকিদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ জানান, ময়মনসিংহের কয়েকটি মাদ্রাসা থেকে কিছু শিক্ষক ও ছাত্র এই এলাকায় হাওরে বেড়াতে আসেন। তাদের নৌকায় ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত আমরা ১৭ জনের মরদেহ ও ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি। কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানাতে না পারলেও বুলবুল আহমেদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই মৌসুমে হাওরের আবহাওয়া হঠাৎ উত্তাল হয়ে যাওয়ার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। এই মৌসুমে হাওরে হঠাৎ বড় বড় ঢেউ তৈরি হয়, আবার কিছুক্ষণের মধ্যে শান্ত হয়ে যায়। সেরকম কোনো একটি সময়ে হয়তো নৌকাটি ডুবে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ময়মনসিংহ সদর থানার ৫নং চরশিরতা ইউনিয়ন ও আটপাড়া তেলিগাতী থেকে ৪৮ জন ঘুরতে মিনি কক্সবাজার উচিতপুরে আসে। পরে হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে গোবিন্দশ্রী রাজালীকান্দা নামক স্থানে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও চারজন।
মদন থানার ওসি মো. রমিজুল হক জানান, মদন হাওরে নৌকাডুবিতে ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চারজন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে।