লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যও রয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) মত ও পথকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে। আহত ২১ জনের সবাই হাসপাতালে ভর্তি।
বিবিসির খবরে জানা গেছে, ওই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ।
মঙ্গলবার বিকালে বৈরুতের বন্দর এলাকার ওই বিস্ফোরণে পুরো বৈরুত শহর ভূমিকম্পের মতো কেঁপে ওঠে। লেবাননের কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরণস্থলের ধ্বংসস্তূপ সরাতে এখনও কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
অর্থনৈতিক সংকট আর করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্গে লড়তে থাকা বৈরুতে বহু বছরের মধ্যে বিস্ফোরণে হতাহতের সবচেয়ে বড় ঘটনা এটি।
লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘ ট্রাইব্যুনালের রায়ের তিন দিন আগে ওই বিস্ফোরণের কারণ শুরুতে স্পষ্ট ছিল না।
তবে পরে দেশটির কর্মকর্তারা বিস্ফোরকের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনা জানান।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এক টুইটে বলেছেন, কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বন্দরে মজুদ করে রাখা হয়েছিল, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, বৈরুতের বন্দর এলাকা থেকে বড়ু গম্বুজ আকারে ধোঁয়া উড়ছে, এর কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণে গাড়ি, ভবন উড়ে যেতে দেখা যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে বাড়িঘর এমন কেঁপে উঠেছিল যে, স্থানীয়রা ভাবছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে।
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে মানুষের চিৎকার ও ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। বাড়িঘরের জানালার কাচ ও বেলকনি ভেঙেও অনেকে আহত হন।