করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়ে ভাবছে সরকার। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধানদের অংশগ্রহণে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সভায় তিনি করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দদের নির্দেশ প্রদান করেন।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
সভায় বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।