বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন রাষ্ট্রের সীমিত সম্পদ দিয়েই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের এ কথা বলেন তিনি। হানিফ তার বাসা থেকে ওয়েবিনারে যুক্ত হন।
ভার্চুয়াল আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখতেন এবং জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন যারা স্বপ্ন অনেক সময় দেখিয়েছেন, কিন্তু বাস্তরায়ন করতে পারেননি। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি যে কত দূরদর্শী নেতা ছিলেন তা উঠে এসেছে তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। স্বাধীন রাষ্ট্রে সীমিত সম্পদে তখনই কিন্তু জ্বালানি নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুই প্রথম আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। দেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করতে, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বহুজাতিক কোম্পানি শেল ওয়েলের কাছ থেকে ৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড স্টারলিং দিয়ে দেশের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ঘোষিত রূপকল্প ২০২১, ২০৪১ অর্জনে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, গোটা উন্নয়নশীল বিশ্বের একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়কে জাতীয় নিরাপত্তার সমার্থক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনার পরিচালনা করেন উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান।
প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ইঞ্জিনিয়ার্স, অস্ট্রিলিয়ার প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী খন্দকার এ সালেক।
ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ অঞ্জন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সংস্থা লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস সংস্থা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান তপু, তিতাস গ্যাস সংক্রমণ ও বিতরণ সংস্থা লিমিটেড ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার।