করোনায় একদিনে মৃত্যু প্রায় ৫ হাজার, আক্রান্ত ২ লাখ ৬৯ হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানি
ফাইল ছবি

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার প্রকোপ থামছেই না। সারা বিশ্বে এখনো তাণ্ডব চালাচ্ছে অদৃশ্য ভাইরাসটি। ইতোমধ্যে অচেনা ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে আট লাখ ৮৩ হাজারের বেশি প্রাণ। আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪ হাজার ৮২২ জনের মৃত্যু হয়েছে অদৃশ্য ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে। একই সময়ে নতুন করে আরও ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ।

universel cardiac hospital

করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, রবিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার ৯৫৬ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭২৯ জন। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক কোটি ৯১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭০ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির সবকটি অঙ্গরাজ্যেই হানা দিয়েছে করোনা। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি এবং স্পেন।

আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ লাখ ৩১ হাজার ১৫২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৮ জন।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪১ লাখ ২৩ হাজার জন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ২৩০ জন।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ লাখ ১০ হাজার ৮৩৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭০ হাজার ৬৭৯ জন।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ২০ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৭ হাজার ৭৫৯ জন।

সংক্রমণে ৫ম অবস্থানে থাকা পেরুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৩ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৬৮৭ জনের।

প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ১৪ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন দুই লাখ ১৭ হাজার ৮৫২ জন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে