পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতা নয়, করোনা ও ভবিষ্যতের যেকোনো সঙ্কট মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে পেরেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলায় আমরা নিজস্ব কৌশল অবলম্বন করেছি। লবণাক্ততা, বন্যা ও খরাসহিষ্ণু ফসলের প্রজাতি উদ্ভাবন এবং চাষের মাধ্যমে এ বিষয়ে সক্ষমতা গড়ে তুলেছি।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ) বাংলাদেশ আঞ্চলিক কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা বলয় তৈরির জন্য লবণাক্ততা, খরা ও বন্যাসহিষ্ণু ধান/ফসল উদ্ভাবন করা হয়েছে। যে কারণে আমাদের খাদ্য উৎপাদন আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে ফুড সিকিউরিটি শক্তিশালী হয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান থেকেই বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। এখানকার মানুষ জানে কীভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়। জনগণ দুর্যোগ মোকাবিলায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন সময়োপযোগীে এবং কার্যকর পদক্ষেপের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব অনেকাংশে কমে এসেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ থেকে ৪৫ বছর আগে সাইক্লোন/ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় মুজিব কেল্লা গড়েছিলেন। আমরাও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিভিন্ন এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছি এবং ভবিষ্যতে উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের নিরাপত্তায় আরও সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন ভালো থাকতে পারে সেজন্য ১০০ বছর মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান ঘোষণা করেছি এবং সে অনুযায়ী কাজ চলছে। ১০০ বছর পর এ বাংলাদেশ কেমন হবে সে কর্মসূচি নিয়ে আমরা কাজ করছি।