ভোটার তালিকা: রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে বিশেষ কমিটি করা হয়েছে। কক্সবাজারে অবস্থানরত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক তথ্যসহ আলাদা রোহিঙ্গা ডাটাবেজ স্থাপন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম।

ভোটার তালিকায় অবৈধভাবে রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি অনুসন্ধানে একটি টিম পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের জন্য আট সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি এবং একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রতিনিধি রয়েছে। প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে।

উভয় কমিটিতে বহিঃসংস্থার সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি বিষয়টি নিয়ে বিশেষ কমিটি কাজ করছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। ইসির কর্মকতাদেরও নজরদারি করা হচ্ছে। আর এনআইডি নিতে যেসব দলিল লাগে সেগুলো কীভাবে রোহিঙ্গারা পায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দ্বৈত ভোটার নিবন্ধন রোধও তারা কাজ করছেন বলে জানান জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক । তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ২ লাখ ৭ হাজার দ্বৈত ভোটার শনাক্ত করা হয়েছে। সেগুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। তবে কেউ যদি সে বিষয়ে কমিশনে আবেদন করেন, তাহলে আমরা যাচাই-বাছাই করে এর কারণ ও উদ্দেশে জানব। সেটি আমরা কমিশনকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেব। যারা দ্বৈত ভোটার হয়েছেন আমরা তাদের এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছি।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্য গোপন করে দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যে ৯২৭ জনের এনআইডি লক করাসহ নির্বাচন কমিশন ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান মহাপরিচালক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে