দুই দেশের বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধ অব্যহত রয়েছে। যুদ্ধে সোমবার রাত পর্যন্ত ৮১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির।
যুদ্ধের প্রথম দিনে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় নতুন করে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন বলে জানায় কারাবাখ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার রাতে আরও নতুন করে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
কারাবাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জানিয়েছে, যুদ্ধে মোট ৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন আজারবাইজানের ও ২ জন আর্মেনিয়ার। তবে আজারবাইজান কোনো সামরিক হতাহতের খবর প্রকাশ করেনি।
আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাদের প্রকাশিত ফুটেজ দেখা গেছে, আগুনে পোড়া সাঁজোয়া যানবাহন এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে থাকা রক্তাক্ত সেনারা পড়ে রয়েছে। ওই সেনারা আজারবাইজানের বলে জানিয়েছে তারা।
গত রবিবার বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনী। আর্মেনিয়া দাবি করেছে, আজারবাইজানই প্রথমে বিমান এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, তারা আর্মেনিয়ার হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে বলেন, তুরস্ক বন্ধু রাষ্ট্র আজারবাইজানের সঙ্গে রয়েছে। আর্মেনিয়া আগে হামলা শুরু করলে আজারবাইজান জবাব দিয়েছে। এর জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেন এরদোয়ান।
জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো দুই দেশকে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।