ট্রাম্প আর করোনা ছড়ানোর ঝুঁকিতে নেই : চিকিৎসক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীর থেকে আর করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। তবে তিনি করোনা নেগেটিভ নন কি না সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে চিকিৎসক শান পি কোনলি বলেন, প্রেসিডেন্টের এ মুহূর্তে আর আইসোলেশনে থাকার দরকার নেই।

এর আগে শনিবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের সামনে নিজের সমর্থকদের সামনে আসেন ট্রাম্প। সংক্রমিত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এটিই প্রথম জনসম্মুখে আসা। তখন তিনি সংক্রামক ছিলেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এখন নতুন পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানালেন, তার শরীরে প্রতিলিপি তৈরি করার মতো ভাইরাস আর নেই। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও ব্লুমবার্গের।

তবে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর মানে এই নয় যে, ট্রাম্প করোনা নেগেটিভ নন।

হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকের নোটে বলা হয়, ট্রাম্পের সবশেষ পরীক্ষাগুলোতে সক্রিয়ভাবে ভাইরাস প্রতিরূপের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তার মধ্যে ভাইরাসের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক বলেন, ট্রাম্পের অত্যন্ত সূক্ষ্ম ল্যাব পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে এখন কতটুকু ভাইরাস আছে, তা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, অন্যকে সংক্রমিত করার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ট্রাম্পকে আর বিবেচনা করা যাচ্ছে না।

শনিবার হোয়াইট হাউসের বারান্দায় এসে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রাম্প।

করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিন পর গত সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে তিনি শিগগির নির্বাচনী প্রচারে নামার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্পের এত দ্রুত হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরা নিয়ে সমালোচনা আছে। তিনি অন্যদের মধ্যে করোনা ছড়াতে পারেন বলেও উদ্বেগ তৈরি হয়।

শনিবার হোয়াইট হাউসের বারান্দায় এসে সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের ভাষণের পর কোনলির দেয়া হালনাগাদ তথ্য সামনে এলো। ওই ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি খুব ভালো বোধ করছেন।

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি করোনার জন্য এখন আর কোনো ওষুধ গ্রহণ করছেন না।

গত ৮ অক্টোবর ট্রাম্প টুইট করে জানান, তিনি ও তার স্ত্রীর করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চেয়ে প্রেসিডেন্টের অবস্থা বেশি গুরুতর বলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসের আরও কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে