বিশ্বের অর্থনীতিতে মহামারি করোনার ভয়াল থাবা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও ধীরে ধীরে অর্থনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ স্থানটি দখলে নিচ্ছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়াতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৪ শতাংশ বেড়ে হবে এক হাজার ৮৮৮ ডলার। বিপরীতে ভারতের মাথাপিছু আয় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমে হবে এক হাজার ৮৭৭ ডলার। যা গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক নামে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছরে পাকিস্তান এবং নেপালের মাথাপিছু জিডিপির তুলনায় ভারত এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের তুলনায় দেশটি পিছিয়ে থাকবে।
প্রতিবেদনটি বলছে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি ১০ দশমিক তিন শতাংশ কমে যাবে। এছাড়া পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি কমবে শূন্য দশমিক চার শতাংশ, ভুটানের কমবে দশমিক ছয় শতাংশ, মালদ্বীপের কমবে আট দশমিক ছয় শতাংশ। তবে অপরিবর্তিত থাকবে নেপালের জিডিপি।
অন্যদিকে চলতি বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। আর আগামী বছর প্রবৃদ্ধি বেড়ে হতে পারে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময় ধরে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয় আইএমএফ।
গত এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ২০২০ সালে বাংলাদেশের ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বলে আভাস দিয়েছিল আইএমএফ। তবে মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুকে সম্ভাব্য এ প্রবৃদ্ধির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়।