করোনা ভাইরাসের বিস্তারে ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন দেখেছে ইতালি। সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় ফের সেই দুর্দিনের আতঙ্ক ফিরে এসেছে দেশটিতে।
রোববার রেকর্ড গড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এ অবস্থায় শিগগিরই নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। খবর বিবিসির।
সেই সঙ্গে রোববার মহামারী পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সামাল দিতে ৪ হাজার কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে ইতালির সরকার। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে দেয়া হবে অতিরিক্ত আরও ১০০ কোটি ইউরো।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, মানুষের রুজিরুটি ও ব্যবসাপত্র যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালি প্রথম ভয়াবহভাবে করোনায় বিপর্যস্ত হয়। আবার তারাই প্রথম দীর্ঘ লকডাউন আর পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গ্রীষ্মের মধ্যেই পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে নিয়েছিল দেশটি। কিন্তু গত কয়েকটা সপ্তাহে চিত্রটা ফের বদলাচ্ছে। গত শনিবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৫ জন। এ পর্যন্ত এটি আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে রেকর্ড সংখ্যাটা ছিল ১০ হাজার ১০ জন।
এর আগে লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়েই দিয়েছিল ইতালি সরকার। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে হয়তো আর্থিক ক্ষতি উপেক্ষা করে লকডাউনের পথে হাঁটতে হবে।
মাঝের কয়েক মাসে সব কিছু অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ফের অনলাইন ক্লাস ও বাড়িতে বসে অফিসের কাজে জোর দেয়া হচ্ছে।
ময়দানে খেলাধুলো বন্ধ। পাব, রেস্তোরাঁয় জমায়েত নিষিদ্ধ। বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। নতুন বিধিনিষেধে কড়াকড়ি বাড়ানো হবে। ইউরোপে ব্রিটেনের পরে সর্বোচ্চ মৃত্যু ইতালিতেই। এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৪৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন এ দেশে।