হাইকোর্টে এমসি কলেজে গণধর্ষণ অনুসন্ধান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন আজ সোমবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

universel cardiac hospital

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনা অনুসন্ধানে হাইকোর্ট গত ২৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে একটি যৌথ কমিটি গঠন করেন। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। পাশাপাশি কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও তাদের সহযোগিতা করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত। রুলে নিরপরাধ গৃহবধূর নিরাপত্তা দিতে অবহেলা ও ব্যর্থতা এবং কলেজ ক্যাম্পাসে অছাত্রদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ ও হল সুপারের নীরবতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। স্বামীকে বেঁধে রেখে ও মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই শাহপরাণ থানায় মামলা হয়। মামলায় এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন। এরপর শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

ওই ঘটনার পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক, হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জীবন কৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কোনো ঘাটতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে