রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক চাইল্ড পর্নোগ্রাফি তৈরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম। ইতিমধ্যে তারা পুলিশের কাছে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের ডিজিটাল ফরেনসিক টিম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন, বোরহান উদ্দিন (২৬), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (২৫) ও অভি হোসেন (২৫)। তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সাইবার ক্রাইম থেকে জানানো হয়, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন ডিজিটাল ফরেনসিক টিম বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে এই চক্রের সন্ধান পায়। পরে তাদেরকে রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি কম্পিউটার পিসি, একটি ট্যাব ও একটি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
সাইবার ক্রাইম থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে দেশি-বিদেশি উঠতি বয়সি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিশুদের সেক্স কাজে উৎসাহিত এবং নুড কনটেন্ট সংগ্রহ করেন। পরে তা বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি ও এডাল্ট ওয়েবসাইটে প্রচার করেন।
গ্রেপ্তার তিনজন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে তারা দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গ্রেপ্তার চাইল্ড পর্নোগ্রাফি চক্রের এই তিন সদস্যের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একদিনের রিমান্ড শেষে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।