বিএনপির দিবাস্বপ্ন ভাঙতে বেশি দেরি হবে না ।। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী
আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। ফাইল ছবি

অনেকের মনের একটা সন্দেহ সঠিক হতে যাচ্ছে মনে হয়। মাত্র গতকালই (সোমবার) আমি ঢাকার একটি দৈনিকে (কালের কণ্ঠে নয়) লিখেছি, দেশে যেভাবে নারী ধর্ষণ বেড়েছে, ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রবর্তনের পরও গাজীপুরে কলেজছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, তাতে ঢাকায় আমার সাংবাদিক ও অন্যান্য বন্ধুর কেউ কেউ মনে করছেন, এই যৌন সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে এবং কোনো অশুভ রাজনৈতিক গোষ্ঠীই হয়তো এই উসকানি ও উৎসাহ দানের পেছনে রয়েছে।

এই সন্দেহবাদীদের যুক্তি, দেশে নারী ধর্ষণ বন্ধ করা এবং নারীর নিরাপত্তা দানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে; সুতরাং তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই, এই কথা বলার যৌক্তিকতা প্রমাণের জন্য যৌন সন্ত্রাসীদের হয়তো একটি হতাশ রাজনৈতিকচক্র উৎসাহ জোগাচ্ছে। তারা অতীতে রাস্তায় সন্ত্রাস চালিয়ে, পেট্রলবোমা মেরে অসংখ্য নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার জন্য যদি পার্টি ক্যাডারদের সমবায়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিযুক্ত করতে পারে তাহলে এখন একই উদ্দেশ্যে যৌন সন্ত্রাসীদের উৎসাহ ও উসকানি দিতে পারবে না কেন?

universel cardiac hospital

আমি এই সন্দেহবাদী বন্ধুদের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হতে পারিনি। সে কথা আমার সাম্প্রতিককালের এক লেখায়ও প্রকাশ করেছি। কিন্তু এখন বিএনপির নেতা ও অভিভাবকদের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, আমার সন্দেহবাদী বন্ধুদের সন্দেহ কিছুটা হলেও সত্য হতে পারে। সিলেট ও বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে যখন দেশে গণ-আন্দোলন চলছে, তার সুযোগ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নারী নির্যাতন বন্ধ করার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এই সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। এখন একই অভিযোগের সঙ্গে দেশ শাসনে সরকারের সার্বিক ব্যর্থতার দাবি তুলে তাঁরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তোলার তোড়জোড় করছেন।

সরকারের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগটিই তাঁরা সর্বাগ্রে এনেছেন। বিএনপির নেতারা নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনে বেজায় কাতর হয়ে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে সরকারের অনতিবিলম্বে ক্ষমতা ত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এ জন্যই সন্দেহবাদীদের ধারণা কিছুটা সত্য বলে মনে হয়। জনান্তিকে বলে রাখি, বাংলাদেশে সম্প্রতি ধর্ষণের অপরাধ অনেকটা বেড়েছে। কিন্তু এতটা বাড়েনি যে সে জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করা যায়।

গত ১৭ জুলাই ‘গার্ডিয়ানের’ এক রিপোর্টে বলা হয়, ব্রিটেনে প্রতি ৭১ জন নারীর মধ্যে একজন ধর্ষিত হয়েছে। ২০ জুলাই ২০১৯ থেকে ২০ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ব্রিটেনে নারী ধর্ষিত হয়েছে ৫৫ হাজার। অন্যদিকে বাংলাদেশে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব মতে (৬ অক্টোবরের রিপোর্ট), বর্তমান বছরের ২০ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নারী ধর্ষণের সংখ্যা ৯৭৫। অর্থাৎ ৯ মাসে ৯০০ নারী ধর্ষিত হয়েছে। এক বছরে যে দেশে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষিত হওয়ার পরও সরকারকে সে জন্য দায়ী করে পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, সেখানে যে দেশে এক বছরে এক হাজার নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সে দেশে সরকারকে দায়ী করে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার দাবি তোলা হচ্ছে। একেই সম্ভবত বলা হয় ‘ঘটিরামি বুদ্ধি’।

ঢাকার কালের কণ্ঠ’র খবরে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার ও বিদ্যমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। বরং আগাম (মধ্যবর্তী) নির্বাচনের জন্য দলটি আন্দোলনে নামার চিন্তা-ভাবনা করছে। আর ওই দাবির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নির্বাচনকালে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া-না যাওয়া সমান কথা তারা মনে করে। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতায় তারা বিশ্বাস করে না। তাই সরকারের মেয়াদের তিন বছর বাকি থাকতেই ওই দুই দাবির ভিত্তিতে তারা আন্দোলন শুরু করার কথা ভাবছে।

শুধু বিএনপির নেতারা নন, বিএনপির ‘দাদা সাহেব’ বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির পরামর্শে নয়, আমি নিজের চিন্তা ও বুদ্ধি থেকে এই দাবি তুলেছি। কারণ এ ছাড়া বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথ নেই।’ বাংলাদেশে করোনা সংকট আছে, নারী ধর্ষণের সংকট আছে। তাতে কোনো রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে কারো মনে হচ্ছে না। নারী ধর্ষণ সমস্যায় সরকার জনদাবি সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়েছে এবং ধর্ষণকারীদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও মৃত্যুদণ্ড প্রবর্তন করেছে। কভিড-১৯-এর সমস্যায় সরকার মিরাকল কিছু দেখাতে পারছে না; কিন্তু ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বাংলাদেশে রোগ-ম্যানেজমেন্ট ভালো—এ কথা বিদেশেও স্বীকৃত। করোনাভাইরাসের ফলে উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোর কোনো কোনোটায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের যে সূচনা দেখা দিয়েছে তা বাংলাদেশে এখনো দেখা দেয়নি। সরকারের সফল কৃষিনীতি আগামী দিনে এই বিপর্যয় অনেকটাই ঠেকাতে পারবে বলে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাই বলছেন। সরকারের নতুন ও পুরনো উন্নয়ন পরিকল্পনাও চালু রয়েছে। দেশে কোনো রাজনৈতিক বিক্ষোভও নেই। তাহলে ডা. জাফরুল্লাহর মতো ‘পক্বচুল বুদ্ধিজীবী’ দেশে রাজনৈতিক সংকট বিদ্যমান কোথায় দেখলেন?

ব্রিটিশ নেতা প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী চার্চিল যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, তখন ঘোলাটে দৃষ্টিতে নানা ঘোলাটে পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছিলেন এবং তদনুরূপ কথাবার্তা বলতে শুরু করেছিলেন। টোরি পার্টির নেতারা বিপদ বুঝে চার্চিলকে দলের নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে অ্যান্থনি ইডেনকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীদের মতো বৃদ্ধ নেতাদের রাজনীতির পানি ঘোলাটে না করে সময় থাকতে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার কি কেউ নেই?

আমার সন্দেহবাদী বন্ধুরা যে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, বাংলাদেশে যৌন সন্ত্রাস বাড়তে সাহায্য করে একটি রাজনৈতিকচক্র চায় এই সন্ত্রাস বাড়ার অজুহাতে সরকারের পতন ঘটাতে, তারও প্রমাণ পাওয়া গেল বিএনপির মুরব্বি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কথায়। তিনি বলেছেন, ‘ধর্ষণে, যৌন নিপীড়নে দেশ ভয়ানকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মধ্যবর্তী নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’ শুধু জাফরুল্লাহ চৌধুরী নন, বিএনপির অন্যান্য নেতাও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিষয়টি বড় করে তুলে আনছেন। সন্দেহবাদীরা যে এই রাজনৈতিকচক্রের ষড়যন্ত্র কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন, সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিএনপি নেতাদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবির জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি একটা তামাশা।’ আমার মতে, এটি তামাশা তো বটেই, কিন্তু একটি ষড়যন্ত্র। তা না হলে যে সরকারের ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ এখনো তিন বছর রয়েছে, তখন কেউ মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তোলে? আর দাবিটি তোলা হয়েছে, যখন দেশটি করোনাভাইরাসের মতো এক বিশ্ব মহামারিতে জাতীয় দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় দুর্যোগের সময় কেউ নির্বাচন চায় না। ক্ষমতাসীন দলের যদি জনপ্রিয়তা না-ও থাকে আপৎকালে সেই সরকারকেই ঐক্যবদ্ধ সমর্থন দিয়ে বিরোধী দলগুলো আপৎ ঠেকানোর ব্যবস্থা করে। এটাই দেশপ্রেম, বৃহত্তর দেশপ্রেম। আর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকার জনপ্রিয়তা না হারানো সত্ত্বেও ভয়াবহ ভাইরাস সমস্যার সময়েও মিথ্যা রাজনৈতিক সংকটের ধুয়া তুলে নির্বাচনের দাবি তুলছে বিএনপি। মহামারির মধ্যে নির্বাচন! করোনাভাইরাসের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা কেউ কেউ বলছেন। সেখানে বাংলাদেশে করোনা মহামারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি। আহা, কী দেশপ্রেম!

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটেন যখন আক্রান্ত, তখন সাধারণ নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল। চার্চিলের অনির্বাচিত কোয়ালিশন মন্ত্রিসভাকে আপৎকালীন সরকার হিসেবে সমর্থন দানের জন্য চার্চিলের ঘোর বিরোধীরা পর্যন্ত ছুটে এসেছিল। লন্ডনে হিটলারের অবিরাম বোমাবর্ষণের মধ্যে কেউ দাবি তোলেনি, এখনই নির্বাচন করতে হবে। আর বাংলাদেশে করোনার হামলায় যখন জনজীবন বিপর্যস্ত, তখন বিএনপি দাবি করছে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান করার। ক্ষমতার লোলুপতা মানুষকে কতটা অন্ধ করতে পারে, এটা তার প্রমাণ।

আরো একটি মজার ব্যাপার। বিয়েপাগল বুড়োর মতো, কনের দেখা নেই, বুড়ো রোজ বর সেজে বসে থাকত। আরেকটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যখন তিন বছর বাকি, মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির পেছনে জনসমর্থন না থাকায় তা পরিত্যক্ত হতে বাধ্য, তখন বিএনপি নির্বাচনকালীন তাদের দলের নেতার খোঁজে এখনই আলোচনার মজলিস গরম করে ফেলেছে। নির্বাচনকালে খালেদা জিয়া যদি জেলে থাকেন, তাদের ‘সাহসী’ উপনেতা তারেক রহমান যদি দেশে ফিরতে সাহস না দেখান, তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো তাদের নেতা কোথায়? দই ভেবে চুন খেলে যা হয়, একবার জবরদস্ত নেতা ভেবে ড. কামাল হোসেনকে নেতৃত্বে বসিয়ে তাদের সেই দশা হয়েছে।

নিজেদের মধ্য থেকে কাউকে নেতৃত্বে বসানোর হিম্মত তাদের নেই। তাহলে খালেদা-তারেকের রোষের আগুনে দগ্ধ করতে পারে। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে কুরুক্ষেত্র ঘটতে পারে। একেই তারা ইদানীং সর্বসম্মত হয়ে নির্বাচনে প্রার্থী দিতেও পারে না। ঢাকা-১৮-র উপনির্বাচনে দিয়েছিল। বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা এসে দলের মহাসচিবের বাসায় হামলা করেছে। ইটপাটকেল মেরে তাঁর ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে দিয়েছে।

দলের নেতাদের কেউ কেউ ভাবছেন, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে লন্ডন থেকে নিয়ে এসে বিএনপির নির্বাচনকালীন নেতৃত্বে বসালে কেমন হয়! তাতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। খালেদা ও তারেক আপত্তি জানাবেন না। অন্যদিকে জাইমার নেতৃত্বকে দলের কোনো নেতাই, এমনকি মওদুদ আহমদের মতো পিতামহরাও চ্যালেঞ্জ জানাতে সাহসী হবেন না। জাইমা সুন্দরী। মায়ের রূপ পেয়েছেন। তার ওপর ব্যারিস্টার। তারেক রহমানের মেয়ে মনে হয় না। ভদ্র ও বিনয়ী।

কিন্তু শুধু রূপ-গুণ দিয়েই রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসা যায় না। আসা গেলে জাইমার মা আসতেন। একসময় বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য বলা হয়েছিল। তিনি নাকি রাজি হননি। জাইমাও দাদি খালেদার ভাঙা তখতে বসতে রাজি হবেন তার প্রমাণ কি? যদি রাজি হন, তাহলে গত সাধারণ নির্বাচনে ভারতের কংগ্রেস যে বিরাট ভুল করেছিল, বাংলাদেশে বিএনপি সেই ভুল করবে। সোনিয়া গান্ধী যখন তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতির পদে বসান, তখনই কংগ্রেসের বেশির ভাগ নেতাকর্মীর মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রাহুলের চেহারায় কারিশমা নেই। চেহারায় জৌলুসও নেই। অন্যদিকে তার বোন প্রিয়াঙ্কা সুন্দরী, বিদুষী, পিতামহী ইন্দিরার মতো ক্যারিসমেটিক চেহারা। কংগ্রেস নেতারা দাবি তুললেন, নির্বাচনে জেতার জন্য প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের নেতা করা হোক।

কিন্তু সমস্যা হলো রাহুলকে তো দলের নেতার পদ থেকে সরানো যায় না। ফলে গত সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রিয়াঙ্কাকে কংগ্রেসের আরেকজন শীর্ষ নেতার পদে তুলে দেওয়া হলো। একটি পুরো অঞ্চলের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলো প্রিয়াঙ্কার কাঁধে। ফল? নির্বাচনে কংগ্রেসের আগের বারের চেয়েও ভরাডুবি। পার্লামেন্টে বিরোধী দল গঠনের মতোও আসন পায়নি কংগ্রেস। জাইমা রহমানকে নিয়েও বাংলাদেশে বিএনপির মধ্যে যাঁরা সুখস্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের সুখস্বপ্নও ভেঙে গেলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

লন্ডন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে