দুই দেশের নাগরিকদের পারস্পরিক ভিসামুক্ত ভ্রমণের ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল। এর মাধ্যমে আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলে প্রবেশে আমিরাতিদের ভিসার দরকার হবে না। একইভাবে আমিরাত ভ্রমণে ইসরায়েলিদেরও ভিসার প্রয়োজন পড়বে না।
গত মাসে হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর সোমবার ভিসা মুক্ত চলাচলে সম্মত হয়েছে এ দুই দেশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি প্রতিনিধি দল প্রথমবারের মতো সরকারি সফরে ইসরায়েল গেছে। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
সোমবার তেল আবিবের কাছের বিমানবন্দর বেন গুরিয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আমিরাতের প্রতিনিধি দলের সফরকে শান্তির জন্য এক গৌরবময় দিন হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
ইসরায়েল-আমিরাতের চুক্তির ব্যাপারে কট্টর ডানপন্থী নেতানিয়াহু বলেন, আজ আমরা এমন একটি উপায়ে ইতিহাস রচনা করছি যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত টিকে থাকবে। তবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নে বিভোর ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল-আমিরাতের এই চুক্তির নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার ইসরায়েল এবং আমিরাতের মধ্যে অন্তত চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ভিসামুক্ত চলাচলের ফলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তিনি বলেন, আজ আমাদের নাগরিকদের ভিসা থেকে মুক্ত করে দেয়া হলো।
সূত্র : এএফপি।