ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা উপলক্ষে কোর্ট প্রাঙ্গনে শো-ডাউন করেছে তার সমর্থক নেতাকর্মীরা।
বেলা ১১টার দিকে সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়। নেয়া হয় আদালতের হাজতখানায়। তাকে আদালতে নেয়া উপলক্ষে কয়েকশ’ কর্মী-সমর্থক সকাল থেকেই জড়ো হয় কোর্ট প্রাঙ্গনে। তারা সম্রাটের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলায় চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার সঙ্গে সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্ব একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান শুরু করে। এদিন নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। এর পর সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাদক ও অস্ত্র আইনে সম্রাটের বিরুদ্ধে করা দুই মামলার বাদী র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।
৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সম্রাটের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।