বৈরি আবহাওয়ার কারণে পদ্মা উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে নৌরুটটিতে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হবে না।
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা। মাঝ পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় ঝুঁকি এড়াতে ভোর থেকেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।