‘এমপিপুত্র-মন্ত্রীপুত্র দেখেন না প্রধানমন্ত্রী’

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাহবুব-উল আলম হানিফ
মাহবুব-উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদেরও ছাড় দেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবেন না বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউর সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ১৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় এক এমপিপুত্রের কারাগারে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে হানিফ বলেন, আপনারা জানেন শেখ হাসিনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থানে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি ভাবেন না কে এমপিপুত্র, কে মন্ত্রীপুত্র। কোনো অন্যায় এবং অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেন না তিনি।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা এটাই বোঝাতে চান যে, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করা হবে। এ সময় তিনি সবাইকে আচার-আচরণে আরও গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রতি তাগিদ দেন।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা বিকৃত করছে তাদের কঠিনভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ আর বিপক্ষের শক্তি বিএনপি-জামায়াত। ১৯৭৫ সালের পরে জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জাতিকে বিভক্ত করে দিয়েছে। জেনারেল জিয়ার বাঙালির চেতনা, স্বাধীনতার চিন্তা চেতনা ছিল না। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর চর হিসেবে মুক্তিযদ্ধে অংশ নেয় জিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা দখল করে এক এক করে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা ধ্বংস করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এই উন্নয়ন আরও দ্রুতগতিতে হতে পারত দেশ থেকে বিভক্তি দূর করা সম্ভব হলে। তাই আমাদের শপথ নিতে হবে দেশ ও সমাজ থেকে বিভক্তি দূর করার।

হানিফ আরও বলেন, আমাদেরকে আরও শপথ নিতে হবে এই দেশে জামায়াত যাতে কোনো দিনই রাজনীতি করার সুযোগ না পায়। কারণ তারা পাকিস্তানের অনুসারী। নিজামী, মুজাহিদ ও কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ডের পর পাকিস্তানে সংসদে তাদের নিয়ে আলোচনা হয়। এতেই বোঝা যায় জামায়াত ও ওই দলের নেতারা আগেও রাজাকার পাকিস্তানি ছিল, এখনো তারা রাজাকার এবং পাকিস্তানি।

সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভঅপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মৃণাল কন্তি দাস প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে