আইপিএলে প্রথম ম্যাচেই জাহানারার বাজিমাত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নারী তারকা জাহানারা আলম
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নারী তারকা জাহানারা আলম। ছবি : ইন্টারনেট

গত আসরে যেখানে শেষ করেছিলেন, নতুন আসরে ঠিক সেখানেই শুরু করলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নারী তারকা জাহানারা আলম। ওমেনস টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ তথা নারী আইপিএলের গত আসরের ফাইনাল ম্যাচে সুপারনোভার বিপক্ষে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছিলেন জাহানারা। কিন্তু দল জয় পায়নি, হয়েছিল রানার্সআপ।

তবে এবার আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে ঠিকই জয় পেয়েছে জাহানারার ভেলোসিটি, হারিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সুপারনোভাকে। বুধবার রাতে সুপারনোভার বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছে ভেলোসিটি। দলের এ জয়ে আবারও ২ উইকেট নিয়েছেন জাহানারা। ফিরিয়েছেন প্রতিপক্ষের দুই সর্বোচ্চ স্কোরারকে।

universel cardiac hospital

আগে ব্যাট করে জাহানারা, একতাদের তোপে সুপারনোভা করতে পেরেছিল ৮ উইকেটে ১২৬ রান। জবাবে সুষমা ভার্মা ও সুন লুসদের ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ভেলোসিটি। আজ (বৃহস্পতিবার) ট্রেইলব্ল্যাজার্সের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। যে দলে রয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুন।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিল ভেলোসিটি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ড্যানিয়েল ওয়াট। বেশি কিছু করতে পারেননি শেফালি ভার্মা ও মিথালি রাজও। মাত্র ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় তারা। জয়ের জন্য তখনও ৬৯ বলে করতে হতো ৮৯ রান।

সেখান থেকে দলকে জয়ের পথ দেখান ভেদা কৃষ্ণামূর্থি ও সুষমা ভার্মা। দুজন মিলে গড়েন ২৭ রানের জুটি। ভেদা করেন ২৮ বলে ২৯ রান। পরে সুন লুসের সঙ্গে জয়ের বাকি কাজটা সারেন সুষমা। যদিও মূল কাজটা করেছেন লুসই। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে খেলেন ২১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। এছাড়া সুষমা করেন ৩৩ বলে ৩৪ রান। শেষ ওভারে জয় পায় ভেলোসিটি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভেলোসিটি বোলারদের দারুণ তোপের মুখে পড়েন সুপারনোভার ব্যাটসম্যানরা। এক প্রান্তে জাহানারা আলমকে দিয়েই বোলিং ওপেন করান মিথালি রাজ। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের এই সুপারস্টার।

৪ ওভার বোলিং করে কোনো মেডেন না পেলেও রান দিয়েছেন ২৭টি। উইকেট নিয়েছেন দুটি। সুপারনোভার শ্রীলঙ্কান ওপেনার চামারি আত্তাপাত্তু জয়াঙ্গিনির উইকেট তুলে নেন জাহানারা। যিনি আবার সুপারনোভার হয়ে করেছেন সর্বোচ্চ ৪৪ রান। ৩৯ বল খেলেছেন তিনি। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কাও মেরেছেন ২টি। জাহানারার বলে কৃষ্ণমুর্তির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

নিজের শেষ ওভারে আরও একটি উইকেট তুলে নেন জাহানারা। তার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সুপারনোভার অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউর। ২৭ বলে ৩১ রান করে বিধ্বংসী হয়ে উঠছিলেন হারমানপ্রিত। কিন্তু জাহানারাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে শিখা পান্ডের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত সুপারনোভা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১২৬ রান। দুই সর্বাধিক রান করা ব্যাটসম্যানেরই উইকেট নিয়েছেন জাহানারা। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন চামারি আত্তাপাত্তু। ৩১ রান করেন হারমানপ্রিত কাউর। ১৮ রান করেন শশিকলা সিরিবর্ধনে। ১১ রান করেন প্রিয়া পুনিয়া।

জাহানারা ছাড়াও ভেলোসিটির হয়ে ২ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের বোলার লেইগ কাসপেরেক। ৪ ওভারে ২৩ রান দেন তিনি। এছাড়া ১ উইকেট নেন একতা বিষন্ত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে