এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ (জিকে শামীম) আটজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর আদালতের জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলি করেন।
গত ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় মোট ২৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন।
বিতর্কিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম (জিকে শামীম) গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিদেশি মদ, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক আইনে মামলা করে।
প্রভাবশালী ঠিকাদার জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার সরকারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেন। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজ তার নিয়ন্ত্রণে। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন।