গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে জাপান আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস মঙ্গলবার এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে টোকিও নেইপিদোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
গত ২৫ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। সেদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার জন্য টোকিওকে অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের ২২ দিনের মাথায় জাপানের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নেইপিদোর সঙ্গে টোকিওর আলোচনার বার্তা এলো।
জাপান দূতাবাস জানায়, জাপানের রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আসিয়ান দেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ওপর জোর দেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। আগে থেকে অবস্থান করছে চার লাখের মতো। বর্তমানে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
এ সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার চুক্তি করলেও মিয়ানমারের অনাগ্রহের কারণে এই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। পরপর দুবার প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি গিয়েও একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে পাঠানো যায়নি মিয়ানমারের কারণে।
জাপানের দূতাবাস জানায়, ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি)-তে অধ্যয়নরত সামরিক অফিসারদের উদ্দেশ্যে ‘জাপান ও বাংলাদেশ- বন্ধুত্বের ৫০ বছর’ শীর্ষক এক অনলাইন বক্তৃতায় বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অর্জনে এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’