বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় বিছানা থেকে ১৭ দিনের শিশুকে চুরির পর হত্যার ঘটনায় তার বাবাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটকরা হলেন- নিহত শিশুর বাবা সুজন খান (২৮), চাচা রিপন খান (২৫) ও ফুফা হাসিব খান (৩০)।
এর আগে রোববার গভীর রাতে মৎস্যজীবী সুজন খান ও শান্তা আক্তার দম্পতির ১৭ দিনের শিশু সানজিদা আক্তার চুরি হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর বুধবার সকালে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে পুকুর থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বাগেহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ঘুমন্ত মা-বাবার কোল থেকে ১৭ দিনের শিশুকন্যা চুরির ঘটনার তিন দিন পর বুধবার সকালে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় পুলিশ শিশুর বাবাসহ তিনজনকে আটক করেছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসাপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবাসহ তিনজনকে থানায় আনা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের মৎস্যজীবী সুজন খান ও তার স্ত্রী শান্তা আক্তার ১৭ দিন বয়সী শিশু মেয়ে সানজিদাকে তাদের দুজনের মাঝখানে শুইয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন।
দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদের ঘুম ভাঙলে দেখেন শিশুটি বিছানায় নেই। তার বালিশটি খাটের নিচে পড়ে আছে এবং ঘরের দরজাগুলো খোলা।
একমাত্র নবজাতক সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েন শিশুটির মা শান্তা আক্তার।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে চুরি যাওয়া শিশুটির দাদা মো. আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের কারণে ১৭ দিনের শিশু সানজিদা চুরি হয়ে থাকতে পারে বলে শিশুটির বাবা সুজন খান দাবি করেন।
শিশু সানজিদাকে উদ্ধারে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি ও পিবিআইয়ের পৃথক দুটি টিম মাঠে কাজ করে। বুধবার ফজরের পর স্থানীয়রা বাড়ির পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।