সিরাজগঞ্জে জঙ্গিবাড়ির খবর আসে রাজশাহী থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানা’
সিরাজগঞ্জে ‘জঙ্গি আস্তানা’। ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীতে জঙ্গি সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নগরীর শাহমখদুম থানা মোড়ের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করে র‌্যাব।

র‌্যাব জানিয়েছে, এরা চারজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে জেএমবির রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান মাহমুদও রয়েছেন। অভিযানে তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

universel cardiac hospital

আটকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় একটি বাড়ি ঘিরে রেখে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, রাজশাহীতে আটক চারজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার উকিলপাড়া এলাকার একটি বাড়ি ঘিরে রাখা হয়।

রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত অভিযানের ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে ঢাকায় প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

এর আগে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের উকিলপাড়া এলাকার ওই বাড়ি ঘিরে রাখে র‌্যাব।

পরে শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার সময় ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে ‘চারজন আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে একজনের নাম কিরণ। তিনি পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেএমবির আঞ্চলিক প্রধান বলে নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার (সহকারী পুলিশ সুপার) মহিউদ্দিন মিরাজ।

এদিকে এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।

এদিকে নগরীর শাহমখদুম থানার মোড়ের নৈশপ্রহরী সেন্টু জানান, রাত ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। রাত আনুমানিক ২টা পর্যন্ত অভিযান চলে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তারা চার জনকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এদের একজনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার সকালে বাড়িটিতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়িটি সিরাজগঞ্জের খায়রুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কিনে নিয়েছেন। চারতলা নির্মাণাধীন বাড়িটির নিচতলায় কয়েকজন যুবক ভাড়া থাকতেন। রাতে সেখানে অপরিচিত লোকের আনাগোনা ছিল।

যারা বাড়িটিতে বাস করতেন তাদের কয়েকজন বাড়ি লাগোয়া মুদিখানার দোকান চালাতেন। কেউ কেউ পাশের আলিফ-লাম-মীম ভাটার মোড়ে ভাজাপোড়া বিক্রি করতেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে