ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কুপ্রস্তাবসহ নানা ধরনের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মাহাবুবর রহমানকে (৩৩) জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকালে তাকে খুলনা জেলা কারাগার থেকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাহবুবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্ত যুবক খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধিন ৬/১বকশিপাড়া রোডের বাসিন্দা সামছুল আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া আতিকুর রহমানের ছেলে। ১৯৭০ সালে তার বাবা সম্মত্তি বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশের খুলনায় চলে আসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলকাতায় মাহাবুবের ফুফাতো ভাই নুরুল হাসানের মাধ্যমে চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তীর মোবাইল নম্বরটি তিনি পেয়েছিলেন। নুরুল হাসান কোলকাতার ফিল্ম ইন্ডাট্রিতে টুকটাক কাজে জড়িত ছিলেন। শ্রাবন্তীর সঙ্গে মাহাবুবের মুঠোফোনে একবার কথাও হয়েছিলো। পরবর্তিতে ফোনে সাড়া না পেয়ে চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কুপ্রস্তাবসহ নানা ধরনের আপত্তিকর মেসেজ দিতেন মাহবুব।
এ বিষয়ে চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তী ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিচার চেয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ১৬ নভেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। ১৯নভেম্বর এই মামলায় অভিযুক্তকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলাটির বাদি হয়েছেন সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই খালিদ উদ্দিন। তদন্ত করছেন একই থানার ওসি (তদন্ত) রাধে শ্যাম সরকার। ভারতীয় চিত্রনায়িকা শ্রাবন্তীকে আপত্তিকর মেসেজ দেয়ায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, আদালতের নির্দেশে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেই মোবাইল ও সিম জব্দ করা হয়েছে।