বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু-প্রধানমন্ত্রী
ফাইল ছবি

যমুনা নদীর ওপর শুরু হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় রেল সেতুর নির্মাণকাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফরেন্সের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিফলক উম্মোচন করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন সম্মেলনকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

universel cardiac hospital

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। পরে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বক্তব্য রাখেন। সবশেষে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের ফলে মানুষের অনেক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। টাঙ্গাইলে কোনো রেললাইন ছিল না। আমরাই প্রথম টাঙ্গাইলে রেল লাইন দেই। পণ্য পরিবহনে রেল বিশেষ ভূমিকা রাখছে৷

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, জাপানের অর্থায়নে প্রকল্পটি জাইকা বাস্তবায়ন করছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় এবার আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু হবে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মদ জানান, ডাবল ডুয়াল গেজ রেল সেতুটি হওয়ার পর ক্রসিং ছাড়াই দু’টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বঙ্গন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ৪টি ট্রেন দৈনিক ৮ বার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদায় পরে তা বাড়ানো হয়। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দিলে কমিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনের গতি। বর্তমানে প্রতিদিন ৩৮টি ট্রেন স্বল্পগতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে সিডিউল বিপর্যয়।

বঙ্গবন্ধুসেতু পুর্ব রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুসেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ১৬ জোড়া রেল পারাপার হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুতে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে রেল। এছাড়া, সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। রেলসেতু নির্মাণ করা হলে কোনো ট্রেনেই কোনো প্রকার সিডিউল বিপর্যয় ঘটবে না। অল্প সময়ের মধ্যেই সেতু পারাপার হওয়া যাবে। একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করবে না।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে