ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে হত্যার মামলায় সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার সামছুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, আশিক, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন।
এছাড়া আরেক আসামি শম্পাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও আহসানুল কবীর কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু বিচারক রায় প্রস্তুত করতে না পারায় রায় ঘোষণার জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। নিখোঁজের পরের দিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা তাকে হত্যা করে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে পুড়িয়ে ফেলে। পরে লাশের সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।
এ ঘটনায় তার ছেলে বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৫ সালের ২ জুলাই ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২০১৫ সালের ২ জুলাই আটজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১১ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।