ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ ১০ জেলায় শুরু হলো করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যান্টিজেন র‌্যাপিড টেস্ট

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না তা অল্প সময়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের ১০টি জেলায় প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। কারো মধ্যে উপসর্গ থাকলে বিনামূল্যে পরীক্ষা করাবে সরকার। পর্যায়ক্রমে এই পরীক্ষার সুবিধা সারাদেশে বিস্তৃত করা হবে।

আজ শনিবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্বাস্থ্য সচিবসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা নেই কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার বেশি, এমন ১০টি জেলাকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট।

উদ্বোধনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রুত সময়ে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের জন্যই এই অ্যাটিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হলো। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তির যদি নেগেটিভ ফলাফল আসে, তাহলে তাকে আবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।

দেশে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয় সেটাকে বলা হয় আরটি-পিসিআর টেস্ট। এতে নমুনা দেয়ার পর ফল পেতে অন্তত ২৪ ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় লাগে। কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্টে নমুনা সংগ্রহের ২০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ নাকি নেগেটিভ সেটা জানা যায়। যদিও কিছু ফলস নেগেটিভ ফল আসার আশংকা রয়েছে।

অ্যান্টিজেনের এই পরীক্ষামূলক পরীক্ষা ১০টি জেলা থেকে শুরু করা হলেও পর্যায়ক্রমে অন্য জেলাগুলোতেও এই পরীক্ষা সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি করোনাভাইরাস শনাক্তে আরটিপিসিআর পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা সেইসঙ্গে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালুর পক্ষে সুপারিশ করে আসছিল। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জুলাইয়ে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কোভিড-১৯ পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতিমালা করে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে