সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে।
সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। তবে ভালো অবস্থানে রয়েছে লেনদেনের গতি। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে দুইশ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।
এদিন লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে পাঁচ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে এরপরই বদলে যায় চিত্র। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে আধাঘণ্টার মধ্যে ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টা ১৮ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৮টির। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে আট কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।