মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার চতুর্থ দেশ হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় রাজি হয়েছে আরব লিগ সদস্য মরক্কো। বৃহস্পতিবার এক টুইট পোস্টে নতুন এ খবরটি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যাকে ইরানের প্রভাব মোকাবেলায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে আঞ্চলিক সমর্থন বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ মুহূর্তের কূটনৈতিক সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি হয়েছে ইসরাইলের।
ট্রাম্প লিখেছেন– আজ আরেকটি ঐতিহাসিক সফলতা অর্জিত হয়েছে। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরাইল ও মরক্কো পরিপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে এটি একটি বড় সফলতা।
হোয়াইট হাউস বলছে, ট্রাম্প ও মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, ইসরাইলের সঙ্গে মরক্কো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এগিয়ে নিতে অর্থনেতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করবে।
চুক্তিতে বলা হয়, রাবাত ও তেলআবিবে একটি যোগাযোগ অফিস খোলা হবে। পরে দূতাবাস স্থাপন করা হবে। সব ইসরাইলির জন্য ইসরাইল থেকে মরক্কোয় সরাসরি ফ্লাইটের অনুমোদন দেবে মরক্কো।
এটিকে ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মরক্কোর বাদশাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ইসরাইল ও মরক্কোর জনগণ আধুনিক জমানায় এক উষ্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছে।